দখিনের খবর ডেস্ক ॥ চলতি মাসেই একাধিক কালবৈশাখী এবং শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া তাতিয়ে উঠছে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে দাবদাহ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে চলতি মাসে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক-দুই দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ধরনের বা তীব্র কালবৈশাখী এবং দেশের অন্য এলাকায় দু-তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে। এ মাসের দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। তবে মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক-দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই এক-দুইটি মাঝারি থেকে বড় ধরনের কালবৈশাখী এবং দু-তিনটি শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কারণ চলতি মাস থেকেই তাপমাত্রা বাড়ছে। আর তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়ায়ও পরিবর্তন ঘটে। তখন কালবৈশাখীর দেখা পাওয়া যায়। চলতি মাসের শেষে এক থেকে দুটি কালবৈশাখী হতে পারে। তাছাড়া মাঝামাঝি সময়ে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সূত্র জানায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই তাপমাত্রা আরো বাড়তে শুরু করবে। আর মাসের শেষদিকে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এখন দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। তবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এ মাসের দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক-দুই দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। ওই সময় দেশের অন্য স্থানে দুই-তিন দিন শিলাবৃষ্টি ও বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।
Leave a Reply